তামীমের রেকর্ড ভাঙলেন রকিবুল

যখন ক্রিজে আসলেন দল তখন আবাহনীর বিশাল লক্ষ্যের সামনে কাঁপছে তার দল মোহামেডান। এমন দুঃসময়ে দৃড় হাতে ধরলেন ব্যাটিংয়ের হাল। শেষ ওভার পর্যন্ত চালিয়ে গেলেন লড়াই। অধিনায়কোচিত ব্যাটিংয়ে দলকে লড়াইয়ে ফিরিয়েছিলেনও কিন্তু শেষ পর্যন্ত দলকে জেতাতে পারেননি রাকিবুল হাসান। তবে বিধ্বংসী ব্যাটিংয়ে গড়েছেন রেকর্ড। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে বাংলাদেশি কোনো ব্যাটসম্যানের সর্বোচ্চ ইনিংসের রেকর্ড এখন রাকিবুলের।
প্রথম শ্রেনীর ক্রিকেটে দেশের হয়ে সর্বোচ্চ ইনিংসের রেকর্ডটাও রাকিবুলের। খেলেছিলেন অপরাজিত ৩১৩ রানের ইনিংস। এবার লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে খেললেন সর্বোচ্চ ১৯০ রানের ঝলমলে ইনিংস। ক্রিকেটের দুটি সংস্করণেই দেশের সবচেয়ে বড় ব্যক্তিগত ইনিংসের রেকর্ড এখন তার অধিকারে।
চলতি প্রিমিয়ার লিগেই নিজের প্রথম ম্যাচে কলাবাগান ক্রীড়া চক্রের বিপক্ষে ১৫৭ রান করেছিলেন মোহামেডানের অধিনায়ক তামিম। সেই ইনিংসে লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে নিজের রেকর্ডই আরেকটু সমৃদ্ধ করেছিলেন তিনি। বাঁহাতি উদ্বোধনী ব্যাটসম্যানের রেকর্ড নিজের করে নিলেন রকিবুল, যিনি তামিমের অনুপস্থিতিতে এখন দলকে নেতৃত্ব দিচ্ছেন। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে বাংলাদেশের মাটিতে সর্বোচ্চ রানের ইনিংসটিও এখন রকিবুলের। ২০১১ সালের সফরে মিরপুর শের-ই-বাংলা জাতীয় ক্রিকেট স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের বিপক্ষে অস্ট্রেলিয়ার শেন ওয়াটসনের অপরাজিত ১৮৫ ছিল আগের সেরা।
নিজের সাবেক দল আবাহনীর বিপক্ষে শুরু থেকেই খুনে মেজাজে ছিলেন রকিবুল। ৩০ বলে আসে তার অর্ধশতক, রান তিন অঙ্কে নিয়ে যান ৬২ বলে। ১০৭ বলে স্পর্শ করেন দেড়শ রান। শেষ ওভারে যখন স্ট্রাইক পান জয়ের জন্য ৫ বলে দরকার ছিল ২৯ রান, দ্বিশতকের জন্য ১০। স্বার্থপর ব্যাটিং না করে চেষ্টায় ছিলেন প্রায় অসম্ভবকে জয় করার। সফল হননি, ফিরে যান কাজী অনিকের বলে মানান শর্মাকে ক্যাচ দিয়ে।
তবে এর আগে বোলাদের চিন্তার একমাত্র কারণ হয় ছিলেন রাকিবুল। উইকেটের চারপাশে শট খেলে আবাহনীকে করে তুলেছিলেন দিশেহারা। ১৩৮ বলের ইনিংসে ১৭টি চারের পাশাপাশি হাঁকান ১০টি ছক্কা। বাউন্ডারি থেকেই এসেছে ১০৮ রান। অল্পের জন্য আরেকটি রেকর্ড স্পর্শ করতে পারেননি। লিস্ট ‘এ’ ক্রিকেটে এক ইনিংসে বাংলাদেশের হয়ে সবচেয়ে বেশি ১১টি ছক্কার রেকর্ড মাশরাফি বিন মুর্তজার। সূত্র : বিডি নিউজ২৪.কম

Print Friendly, PDF & Email

     এ ক্যাটাগরীর আরো খবর